বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দামুড়হুদা জয়রামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু অফিস থেকে ফেরা হলো না আর বাড়ি। কালিয়াকৈরে বসতবাড়িতে ডাকাতি টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট  হত্যাসহ একাধিক মামলায় আদালতে সাবেক এমপি মমতাজ বেগম শেরপুরের শ্রীবরদীতে সেনাবাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান রূপগঞ্জে কোরবানীর পশুর পরিচর্চায় ব্যস্ত খামারি চাহিদার তুলনায় পশুর সংখ্যা বেশি মৌলভীবাজারে কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন: অংশ নেন ২৭৪ প্রার্থী বিবিডিএন-এর সহায়তায় দিনাজপুরে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ডিসির স্বাক্ষর জাল: কক্সবাজারে ভূয়া সাংবাদিক আটক নোয়াখালীতে পুরনো কবর ভেঁকু দিয়ে খুঁড়ে নতুন মসজিদ নির্মাণে দ্বন্দ্ব

হাসানাত আবদুল্লাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে : শেখ মাহবুবুর রহমান

হাসানাত আবদুল্লাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে : শেখ মাহবুবুর রহমান
এস এম মনিরুজ্জামান, স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে শাহবাগে চলমান আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়েছিলেন ছাত্রনেতা শেখ মাহবুবুর রহমান। আন্দোলনের মঞ্চে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একাধিক শিষ্টাচারবিরোধী ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শেখ মাহবুবুর রহমান লেখেন— “গতকাল ১০ মে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। দুপুর ২টায় আমার ‘ফরেন পলিসি অব বাংলাদেশ’ পরীক্ষা ছিল। সাড়ে তিনটার দিকে পরীক্ষা শেষে দেখি আন্দোলনের মিছিল শাহবাগের দিকে যাচ্ছে, আমিও চলে যাই।”

তিনি জানান, মিছিল শাহবাগে প্রবেশ করার পর মঞ্চ থেকে স্বাগত জানানো হচ্ছিল। কিন্তু নেতৃবৃন্দ মঞ্চে যেতে চাইলে মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়—মাত্র দুইজন প্রতিনিধি যেতে পারবেন। অথচ, সেখানে একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইনকিলাব মঞ্চের হাদী মাইক থেকে যেভাবে কথা বলছিলেন, তা ছিল অত্যন্ত শ্রুতিকটু ও শিষ্টাচারবিরোধী।

তিনি আরও লেখেন— “মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সাহেবকে ‘আতা ভাই’ বলে বারবার ডাকা হচ্ছিলো। আমি জোর করে মুনতাছির ভাইকে মঞ্চে পাঠাই কারণ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতি ছিল অপরিহার্য। আমাদের নেতারা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য সংহতি জানাতে গিয়েছিলেন, ফুটেজ খাওয়ার জন্য নয়।”

স্ট্যাটাসে তিনি অভিযোগ করেন— “মঞ্চে যাওয়ার পর এবি জোনায়েদ, আপ বাংলাদেশ, লেবার পার্টি ও এনসিপির একাধিক নেতা প্রতিনিধিদের গায়ে হাত দিয়ে বসতে বলেন, ইশারা করেন এবং অকথ্য আচরণ করেন। হাসানাত আবদুল্লাহ এমনকি মুনতাছির আহমাদের গায়ে হাত তোলেন বসানোর জন্য—যা সরাসরি রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী। আশেপাশে থাকা নেতৃবৃন্দও বিষয়টি উপেক্ষা করেন, যা বিস্ময়কর।”

তিনি উল্লেখ করেন, এই আচরণ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং আদর্শিক ছাত্র জনতার আত্মমর্যাদায় আঘাত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও একই রকম আচরণ করেছেন হাসানাত, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।

শেখ মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, “আজ হাসানাত ভাই ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বটে, কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে পোস্ট করতে বলেন—যেখানে তিনি কমেন্ট করবেন। এটি হঠকারিতা ছাড়া কিছু নয়।”

শেষে তিনি বলেন— “যারা প্রকাশ্যে অন্যায় আচরণ করেছেন, বিশেষ করে হাসানাত আবদুল্লাহ ও মাহমুদা মিতুর মতো নেতৃবৃন্দ, তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার স্বার্থে আমরা কখনো অন্যায় মেনে নেব না। দাড়ি-টুপি পরা দালালচক্রকে চিহ্নিত করুন, কারণ তারাও ছাড় পাবে না।”

সংবাদটি শেয়ার করুন :

১০

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত